মিষ্টির প্রতি আসক্তি বেড়ে যাচ্ছে দিন দিন? অনেকেরই শেষপাতে একটু মিষ্টিমুখ না করলে মোটেই তৃপ্তি হয় না। অথচ, ইদানীং মিষ্টি খাওয়ার আগে হাজারো চিন্তা মাথায় ঘোরে। কিন্তু, কিছুতেই লোভ সামলানো যায় না। যদি মিষ্টিপ্রেমীরা মনের জোরে মিষ্টি-চকোলেট-আইসক্রিম ছেড়েও দেন, তবুও চায়ে চিনি দেওয়া বা সকাল-বিকেল রকমারি কেক-বিস্কুট খেয়ে ফেলা একেবারে বন্ধ করে দেওয়া বেশ কঠিন। মিষ্টি খেতে কেন এত মন চায়, তার কারণ জানেন কি? মিষ্টির প্রতি আসক্তি কমানোর কিছু উপায়ও আছে।
কেন মিষ্টি দেখলেই লোভ হয়?
শরীরে বিশেষ কিছু পরিবর্তন এলে মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতা বাড়ে। সেগুলি কী কী?
১) পুষ্টিবিদ শম্পা চক্রবর্তী জানাচ্ছেন, রোজের ডায়েটে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট ও ফ্যাটের ভারসাম্য বজায় রাখা ভীষণ জরুরি। বেশি মাত্রায় কার্বোহাইড্রেট শরীরে প্রবেশ করলে ইনসুলিনের ক্ষরণ বাড়ে। এর ফলে আরও কার্বোহাইড্রেট খাওয়ার ইচ্ছা হয়। আর যত ক্ষণ না পর্যন্ত মিষ্টি খাচ্ছেন, স্বস্তি হবে না।
২) পর্যাপ্ত না ঘুমোলেই শরীরে লেপটিন হরমোনের ভারসাম্য বিঘ্নিত হয়, ফলে বেশি ভাজাভুজি, মিষ্টি খাওয়ার ঝোঁক বাড়ে।
৩) উদ্বেগ ও মানসিক চাপ বেড়ে গেলে কর্টিসল হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায় যা ইনসুলিনের ভারসাম্য নষ্ট করে। তখন মিষ্টি খেতে মন চায়।
মিষ্টি খাওয়ার ইচ্ছা কমাবেন কী করে?
১) মিষ্টি খেতে ইচ্ছে হলেই এক গ্লাস জল খেয়ে নিতে পারেন। বেশি মিষ্টি খেলে অনেক সময়ে শরীরে জলের পরিমাণ কমে যায়, সুস্থ থাকতে তাই প্রতি দিন ৮-১০ গ্লাস জল খেতেই হবে।
২) সবুজ শাকসব্জি খান বেশি করে। এতে শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টি ঢুকবে এবং খনিজ-ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ হবে। ফলে মিষ্টি খাওয়ার ইচ্ছেও কমবে অনেকটাই।
৩) মাল্টিভিটামিন খেলে শরীরে জরুরি পুষ্টিগুণের ঘাটতি হবে না। তা হলে মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতাও কমে যাবে।
৪) প্রোটিন খেতে হবে পরিমাপ মতো। মাছ, মাংস বা ডিম খেলে অনেক ক্ষণ পেট ভরা থাকে। খিদেও কম পায়। খিদের মুখে ডিমসেদ্ধ খেতে পারেন। তা হলে মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতা দূর হয়।
৫) মিষ্টি খেতে সাধ জাগলে স্ট্রবেরি, কমলালেবু, আঙুর বা মুসাম্বির মতো ফল খান। তা হলে চিনি খাওয়ার ইচ্ছা কমে যাবে।